সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সমস্বরে তিলাওয়াত করার বিধান:
এ নিয়মে তিলাওয়াত করা সঠিক নয়, বরং না জায়েয। কারণ-
1, নামাজের শেষে অন্যান্য দু'আ ও যিকিরের মত এটিও একটি ব্যক্তিগত ইবাদাত। এটি সমিষ্টিগত ভাবে পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।
2, কুরআনুল কারিম পড়ার বিধান হলো, কেউ আওয়াজ করে কুরআন পড়লে বাকীলোকেরা চুপচাপ থাকবে ও মনযোগ দিয়ে কুরআন শুনবে। শুধু মাত্র শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্বরে কুরআন পড়া জায়েয আছে।
3, নামাজ শেষে তো আয়াতুল কুরসিও পড়া হয়, তখন তো সমস্বরে পড়া হয় না। কারণ এটি ব্যক্তিগত আমল। সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত কোন দলিলের ভিত্তিতে সমস্বরে পড়া হবে? আসলে এর পক্ষে কোন দলিল নেই। আর দলিল বিহীন আমল গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ইমাম সাহেব যদি তা'লিম দিতে চান, তাহলে তিনি একটু বলবেন-মুসল্লিরাও একটু বলবে।
তবে এটা সারা বছর চলমান রাখা মোটেও সঠিক হবে না।
4, সমস্বরে তিলাওয়াতের কারণে মাসবুক নামাজিদের নামাজে সমস্যা হয়। অথচ সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া নফল আমল। আর মাসবুক নামাজিদের নামাজের বাকী অংশ টুকু শেষ করা ফরজ। নফল আমল করতে গিয়ে ফরজ আমলের ক্ষতি করা কোন ভাবেই জায়েয হবে না।
এ বিষয়ে সম্মানিত ইমাম সাহেবগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Page content
More page content
0 Comments