মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হোসাইন থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান মারা যায়, আরবে তাকে  নির্বংশ বলা হয়। রাসুলুল্লাহ্ (সা.) এর পুত্র কাসেম অথবা ইবরাহীম যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগলো। ওদের মধ্যে ‘আস ইবনে ওয়ায়েল’র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রাসুলুল্লাহ্ (সা.) এর কোনও আলোচনা হলে সে বলত, আরে তার কথা বাদ দাও, সে তো কোনও চিন্তারই বিষয় নয়। কারণ, সে নির্বংশ। তার মৃত্যু হয়ে গেলে তার নাম উচ্চারণ করারও কেউ থাকবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূরা কাউসার অবতীর্ণ হয়। 


(১)    নিশ্চয় আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি।

(২)    অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবাবি করুন।

(৩)    যে আপনার শত্রু, সে-ই তো লেজকাটা,

নির্বংশ।


বাস্তবতা: রসুলুল্লাহ (সঃ) নাম কেয়ামত পর্যন্ত উচ্চারিত হতে থাকবে। কিন্তু, কাফের মোনাফেক গোষ্ঠীর অবস্থান কোথায়..?


যেমনটি যালিম আওয়ামীলীগ, ইসলামের চরম দুশমন।  তারা জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর চরম নির্যাতন বর্বরতা চালিয়েছে। অন্যায়ভাবে জেল-ফাঁসি দিয়েছে যাদের,  সেইসব নেতাকর্মীদের নাম  মুমিনদের  হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। শুধু দেশে নয়, যে,শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে, উনাদের নাম তুরস্ক সহ বিভিন্ন মুসলিম  দেশের  রাস্তার নামকরণ  সহ   বই পুস্তকে লিপিবদ্ধ  করেছে।


কিন্তু যালিমের সহযোগী  আলেম নামধারী ফাসেক-মোনাফেকদের  নাম আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর পাশে লিপিবদ্ধ  থাকবে চিরকাল ।


তাগুত, বাতিলের সাথে ঈমানদারগনের সংঘাত লাগাতার-- চলমান।

পক্ষান্তরেঃ মোনাফেক গোষ্ঠীর সাথে বাতিল, তাগুতের দহরমমহরম,  গোপন,  প্রকাশ্যে যোগাযোগ সেই নবী রসুলদের সময়কাল থেকে শুরু, এখনো অব্যাহত আছে।


যতক্ষণ মহা গ্রন্থ আল কোরআন দুনিয়াতে থাকবে , ততক্ষণ জামায়াত শিবিরের অস্তিত্ব বিলীন হবে না, হবার ও নয়,  ইনশাআল্লাহ । 


আর আল্লাহ্‌র আইন বাস্তবায়ন করার দাওয়াতি কাজ করতে গিয়ে যাঁরা আহত, নিহত , নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁরাই তো দুনিয়া আখেরে  সফলকাম ।

আল্লাহ ঈমানদারদের পরীক্ষা নেয়ার কথা বলেছেন।


"সুতরাং বুঝতে বাকী নাই, আসলে কাদের অস্তিত্ব বিলীন!


লিখেছেন

Helal Ahmed Helal